ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এই খসড়াকে ঘিরে ব্যাপক আপত্তি উঠেছে।
ইসি সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ৮২টি আসনকে কেন্দ্র করে মোট ১ হাজার ৫৯৬টি দাবি ও আপত্তির আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন গৃহীত হয়েছে ৩১ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। কেউ কেউ সরাসরি ইসির সিনিয়র সচিবের দপ্তরে আবেদন করেছেন, ফলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগস্ট মাসজুড়ে জানা যাবে।
প্রকাশিত খসড়ায় গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর বিরোধিতা করে বাগেরহাট জেলা বিএনপি বাগেরহাট-৪ আসন বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে। তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির এ বিষয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলাকে বিভক্ত না করে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনেই রাখার দাবি উঠেছে। ভোটারদের পক্ষে একাধিক ব্যক্তি ইসিতে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসি কিছু নীতিমালা অনুসরণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
-
দুই আসনবিশিষ্ট জেলায় ভোটার গড়ের ভারসাম্য রক্ষায় আসন অপরিবর্তিত রাখা।
-
তিন আসনবিশিষ্ট জেলায় আসন কমানো বা বাড়ালে অনুপাত বিঘ্নিত হওয়ায় তা অপরিবর্তিত রাখা।
-
যেসব আসনে কোনো আবেদন পড়েনি, সেগুলো অপরিবর্তিত রাখা।
-
উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
-
জেলার ভেতরে আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০% ব্যবধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
-
ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় সীমারেখা নির্ধারণ।
-
নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি, সম্প্রসারণ বা বিলুপ্তি হলে তা অন্তর্ভুক্ত/কর্তন এবং নাম সংশোধন।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “আমরা ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ ধরে হিসাব করেছি। এ গড়ের বেশি হওয়ায় গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে। আবার গড়ের কম হওয়ায় বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়েছে। এই দুই জেলার বাইরে আসন পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তবে ৩৯টি আসনে সীমানা সমন্বয় করা হয়েছে।”