আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা হিসেবে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর ইরান জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর কোনো সংলাপের সুযোগ নেই। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “ইসরায়েলের এই হামলা ছিল ইরানের ওপর সরাসরি আগ্রাসন, যা সব সংলাপের ভিত্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা যখন একদিকে আলোচনার কথা বলেন, আর অন্যদিকে গণহত্যাকারী একটি রাষ্ট্রকে হামলার সুযোগ করে দেন, তখন সেই আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়ে।” তার ভাষ্যে, ইসরায়েল ইরানের সব রকম ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে এবং তেহরান আশা করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বর্বরতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাবে।
বাঘাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তিনি বলেন, “এখন পরিষদের উচিত স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
এদিকে, ইরান দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের অজ্ঞাত সম্মতি বা সহায়তা ছাড়া ইসরায়েলের পক্ষে এমন হামলা সম্ভব হতো না। “জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী সবসময় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে তাদের খেলায় জড়াতে চায়, এবারও তারা তেমনই করেছে,” বলেন বাঘাই।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল একটি বড় সামরিক অভিযানে ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনা ও আবাসিক ভবনে হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক নাগরিক, শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার ঠিক আগে ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা হবার কথা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা স্থগিত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।