ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শহরটির প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন খান ইউনুসের মেয়র।
শনিবার (১১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মেয়র জানান, শহরের প্রধান সড়কগুলো থেকে অন্তত ৪ লাখ টন ধ্বংসস্তুপ অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি, শহরের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানির পাইপলাইন সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, শহরের ৭৫ শতাংশ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সারা শহরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এখনো অনেক এলাকায় নিকাশি বন্ধ থাকায় দুর্গন্ধ ও রোগব্যাধির আশঙ্কা বাড়ছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে ১৫৫টি মরদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩৫টি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওয়াফার তথ্যমতে, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ৪৩টি পাঠানো হয়েছে গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে, ৬০টি আল-আহলি আরব হাসপাতালে, ৪টি নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে, ১৬টি দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এবং ৩২টি মরদেহ খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গাজার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কিছু এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।