বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অনুদান কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
সম্প্রতি কাতারে একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে মাস্ক বলেন, “আমি মনে করি, আমি যথেষ্ট করেছি। ভবিষ্যতে যদি রাজনৈতিক অনুদানের প্রয়োজন দেখি, তখন বিবেচনা করব।”
মাস্ক আরও জানান, তিনি আগামী পাঁচ বছর টেসলার নেতৃত্বে থাকার পরিকল্পনা করছেন। একইসঙ্গে হোয়াইট হাউসের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ ‘ডোজ’ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা তার বিভিন্ন কোম্পানির ওপর প্রভাব ফেলেছে, যার মধ্যে রয়েছে টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এক্স (সাবেক টুইটার)। সরকারি চুক্তি ও তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগও উঠেছে।
টেসলার বিক্রয় হ্রাস ও বিনিয়োগকারীদের নানা উদ্বেগের কারণে মাস্কের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। বিশেষ করে উইসকনসিন সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে তার সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয়ে মাস্কের রাজনৈতিক প্রভাবের সীমাবদ্ধতাও স্পষ্ট হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে মাস্কের বক্তব্য উঠে এসেছে, যেখানে তিনি বলেন, “আমি যা প্রয়োজন ছিল, তা করেছি।” টেসলার ওপর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রভাবকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান, ইউরোপের বাইরে কোম্পানিটি ভালো করছে এবং সম্প্রতি টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে।