Ridge Bangla

ইরান-সৌদি ফোনালাপ: আঞ্চলিক ঐক্যের বার্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় উদ্বেগ

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতের মাঝেও এক আশাব্যঞ্জক বার্তা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই ফোনালাপে ইরান-সৌদি সম্পর্কের উষ্ণতা, আঞ্চলিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভূমিকায় উদ্বেগ উঠে আসে।

ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা এবং ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের সময় রিয়াদের স্পষ্ট অবস্থানের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অংশগ্রহণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তুলে ধরেন এবং বলেন, এটি ছিল ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়াস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, অথচ ইরান চায় আঞ্চলিক সংহতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সম্মিলিত উন্নয়ন।”

জবাবে মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, সৌদি আরব শুরু থেকেই ইসরায়েলের হামলার বিরোধিতা করেছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের আকাশসীমা বা ঘাঁটি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না।”

তবে তিনি কাতারে ইরানের হামলাকে দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, ইরানের উদ্বেগ এবং অবস্থান তিনি বুঝতে পারছেন। ক্রাউন প্রিন্স আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উত্তেজনা যেন আর না বাড়ে এবং তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ শিগগিরই পুনরায় শুরু হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ফোনালাপ মধ্যপ্রাচ্যে আস্থার সংকট কাটিয়ে আঞ্চলিক সংলাপ ও সমঝোতার একটি নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে ইয়েমেন, লেবানন ও গাজার মতো সংকটপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধানে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন