ইউক্রেন ইস্যুতে হঠাৎ করেই তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। নীরব কূটনীতিও গতি পেয়েছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান টানতে এবার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে চায় দেশটি। সেই লক্ষ্যে এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা পৌঁছেছেন কিয়েভে। চলছে খসড়া এক শান্তি–ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনার তোড়জোড়। বুধবার (১৯ নভেম্বর) কিয়েভে মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব ড্যান ড্রিসকল ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কোর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে গোপনে আলোচনার মাধ্যমে ২৮ দফা নতুন একটি প্রস্তাব তৈরি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। এতে ইউক্রেনকে দনবাসের কিছু অঞ্চল ছাড়ার পাশাপাশি তাদের সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্যভাবে ছাঁটাই করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কিয়েভের কপালে নতুন চিন্তার ভাজ। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “শুধু ইউক্রেন নয়, দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে।”
হোয়াইট হাউস স্বীকার করেছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের ‘অনমনীয়তায়’ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে শান্তি–রূপরেখা তৈরিতে কাজ করছেন। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভূখণ্ড ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নও উদ্বেগের সঙ্গে বলেছে, আলোচনাটি ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের বাইরে হয়ে থাকলে তা একপেশে ও বিপজ্জনক হতে পারে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই তেরনোপিলে রুশ হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্রভাবে সামনে এসেছে।