বলিউডে এখনো বড় কোনো ব্লকবাস্টার দিতে না পারলেও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান ক্রমেই দৃঢ় করছেন জানভি কাপুর। একের পর এক দক্ষিণী ছবিতে কাজের প্রস্তাব এবং প্রতি ছবিতে বাড়তে থাকা পারিশ্রমিক নিয়ে তাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
‘ধড়ক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হলেও জানভির কেরিয়ারে বড় মোড় এসেছে দক্ষিণে গিয়ে। সম্প্রতি জুনিয়র এনটিআরের বিপরীতে ‘দেবারা’ ছবিতে অভিনয় করে দক্ষিণী দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। তার পারফরম্যান্স এবং পর্দায় উপস্থিতি ইতিবাচক সাড়া ফেলায় তার পারিশ্রমিকও দ্রুত বেড়েছে।
সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর অনুযায়ী, আটলি পরিচালিত এবং আল্লু অর্জুন অভিনীত এক দক্ষিণী ছবিতে জানভি কাপুর পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৭ কোটি রুপি। এর আগে ‘দেবারা’ ছবির জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৫ কোটি রুপি এবং এরপরের ছবি ‘পেড্ডি’-তে তার পারিশ্রমিক ছিল ৬ কোটি রুপি। নতুন ছবিতে সেটি আরও এক ধাপ বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এমন পারিশ্রমিক বাড়ার পেছনে অনেকেই বলছেন, জানভির ‘প্যান-ইন্ডিয়া কৌশল’ কার্যকর হচ্ছে। দক্ষিণে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি বলিউডে নতুন করে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।
বলিউডে বর্তমানে তার হাতে রয়েছে দুটি বড় প্রজেক্ট—সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে ‘পরম সুন্দরী’ এবং বরুণ ধবনের সঙ্গে ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’। তবে এই দুটি প্রকল্প এখনো বড় উত্তাপ ছড়াতে পারেনি।
ফলে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, জানভি কাপুরের সাফল্যের মূল মঞ্চ কি তাহলে দক্ষিণী সিনেমা? নাকি তিনি বলিউড ও দক্ষিণ—দুই ইন্ডাস্ট্রির মাঝেই কৌশলী ভারসাম্য খুঁজে নিচ্ছেন? এই প্রশ্নেই এখন সরগরম সিনে অঙ্গন।