নীলফামারীতে হিমাগারে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ আলু নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বাজারে আলুর দাম ধস নামায় এখন সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেকেও আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না চাষিরা, আর উচ্চ দামে আলু কিনে মজুত রাখা ব্যবসায়ীদেরও লোকসান বাড়ছে।
জানা যায়, জেলার ১১টি সরকারি-বেসরকারি হিমাগারে প্রায় ৯৫ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে কৃষকদের সরবরাহ করা আলু প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। দাম কমে যাওয়ায় বাকি আলু সংগ্রহে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। হিমাগার মালিকদের জন্যও এসব আলু এখন অতিরিক্ত চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করবে। এতে পুরোনো আলুর চাহিদা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা। কৃষক মোস্তফা ইসলাম জানান, এক কেজি আলু তুলতে আমাদের খরচ হয়েছে ২০–২২ টাকা, এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৮–১০ টাকায়। পুরোপুরি লোকসানে পড়ে গেছি।
আরেক কৃষক জামিল উদ্দিন বলেন, উচ্চ দামের আশায় হিমাগারে রেখেছিলাম, এখন সংরক্ষণ খরচই উঠছে না। চাষি জিয়ারুল হক জানান, এভাবে দাম কম থাকলে আগামী মৌসুমে আলু চাষ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।
ব্যবসায়ীরাও একই সংকটে। আলু ব্যবসায়ী বাবু হাসান বলেন, উচ্চ দামে কিনে এখন লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ার সম্ভাবনাও নেই।