দেড়শ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি করলো তিন অংকের রান, লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। জয়টাকে তো তখন নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ১০৯ রান তুলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দুজনেই হাঁকান ফিফটি। পারভেজ ৫৪ আর তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় মনে হচ্ছিল সহজেই জিতে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা। বিনা উইকেটে দলীয় সংগ্রহ শতরান পেরিয়ে গেলেও বাকি ৪৪ রান তুলতেই টাইগাররা হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। সবকটা রিভিউও গেছে হাত ফসকে। বাংলাদেশ তখন নিশ্চিত হার দেখছিল।
ম্যাচটা পেন্ডুলামের মতো দুলে বাংলাদেশের পক্ষে এসে গেল এরপরই। রিশাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নুরুল হাসান সোহান গড়লেন ১৮ বলে ৩৫ রানের জুটি। তাতেই কঠিন হয়ে পড়া ম্যাচটা অবশেষে ৪ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৫১/৯, ২০ ওভার (গুরবাজ ৪০, নবি ৩৮, ওমরজাই ১৮, শরাফউদ্দিন ১৭*; ইব্রাহিম ১৫, সেদিকউল্লাহ ১০; তাসকিন ১/৪০, নাসুম ১/১৮, তানজিম ২/৩৩, মুস্তাফিজ ১/২৪, রিশাদ ২/৩৩)।
বাংলাদেশ: ১৫৩/৬, ১৮.৪ ওভার (পারভেজ ৫৪, তানজিদ ৫১, সোহান ২৩*, রিশাদ ১৪*; রশিদ ৪/১৮, নুর ১/২১, ফরিদ ১/২৬)।
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: পারভেজ হোসেন (বাংলাদেশ)।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ।