আফগানিস্তানের কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লজ্জাজনক হারের মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিংয়ের পর এই ম্যাচেও ব্যাটাররা বিপর্যয় সৃষ্টি করেন, ফলে বোলারদের চেষ্টার ফল কার্যত নষ্ট হয়ে যায়। ১৯১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দল মাত্র ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং আফগানিস্তান এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয়।
ম্যাচে আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। দলীয় শুরু কিছুটা চাপে থাকলেও ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী জুটি কিছুটা পরিস্থিতি সামলান। জাদরান ৯৫ রানে আউট হন, নবী ২০ রান করে ফিরে যান। শেষদিকে রহমত শাহ মাঠ ছাড়েন রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে। আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে অলআউট হয়।
বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয় খারাপভাবে। তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করে ফিরে যান। নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ৭ রানে রান আউট হন। এরপর সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয় দলীয় ৪০ রানে আউট হন। পাঁচ উইকেট হারানোর পর দলের পরিস্থিতি দিশেহারা হয়ে পড়ে। জাকের আলি অনিক, নুরুল হাসান সোহান এবং রিশাদ হোসেনও বড় ইনিংস খেলার সক্ষমতা দেখাতে ব্যর্থ হন। রশিদ খানের স্পিনে বাংলাদেশের সব উইকেট পড়ে মাত্র ১০৯ রানে।
এই হারের ফলে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয় স্পষ্ট হয়েছে। যেখানে বোলাররা যথাযথভাবে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেছিলেন, সেখানে ব্যাটাররা তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে দলের জন্য লজ্জাজনক বয়ে এনেছেন। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় টাইগারদের ফরম্যাট অনুযায়ী ব্যাটিং উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।