Ridge Bangla

আত্মগোপনে থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত বেতন তুলছেন আওয়ামী লীগ নেতা

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রধান শিক্ষকের চেয়েও তার বড় পরিচয় তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। এ অবস্থায় আখতার হোসেন নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নেন। তবে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং বিদ্যালয়েও আসছেন না।

বর্তমানে তার অনুপস্থিতিতে একাডেমিক কার্যক্রম সামলাচ্ছেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সুলতান মাহমুদ। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের আগেও মাঝেমধ্যে আখতার হোসেন বিদ্যালয়ে আসতেন। তবে ফেব্রুয়ারির পর তিনি আর বিদ্যালয়ে আসেননি। এক্ষেত্রে কিভাবে তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হলো সে ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না, কারণ হাজিরা খাতা থাকে সভাপতি ও অফিস সহকারীর কাছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা আখতার হোসেনকে বিদ্যালয়ে দেখেনি। প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি তাদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এতে করে তাদের পরীক্ষার ফলও খারাপ হচ্ছে। এ বছর পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের অনুপস্থিতিই অনেকাংশে দায়ী বলে তারা জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা দ্রুত নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, আখতার হোসেন চিকিৎসাজনিত ছুটিতে আছেন। আমি দুই মাস ধরে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছি, এই সময়ে আখতার নিয়মের ভেতরেই রয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমানের বক্তব্য ভিন্ন। তিনি জানান, তাঁর অফিসে কোনো ছুটির কাগজ জমা পড়েনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন