আজ ১৪ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি অস্ট্রিয়ান জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টাইনারের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয়, যিনি রক্তের গ্রুপ (এ, বি, ও) আবিষ্কার করে ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
এ বছরের প্রতিপাদ্য— “রক্ত দিন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।” দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, রক্তদান সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো র্যালি, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও স্বেচ্ছায় রক্তদানের কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে। ফলে রক্তের ঘাটতি নিয়মিতই দেখা দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে রক্তের চাহিদা বেড়ে চললেও স্বেচ্ছায় রক্তদানের প্রবণতা তেমন বাড়ছে না, যা উদ্বেগজনক।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানীর পরিসংখ্যান বলছে, বছরে প্রায় ৬ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়, যার মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছ থেকে। প্রায় ৬০ শতাংশ রক্ত সংগ্রহ করা হয় পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বাকি রক্ত সংগ্রহ হয় রোগীর স্বজন ও পরিচিতদের কাছ থেকে।
রক্তদাতাদের বড় অংশ তরুণ ও শিক্ষার্থীরা হলেও এখন আরও বেশি মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্তদানে অংশগ্রহণ বাড়ানোই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের মূল লক্ষ্য।