Ridge Bangla

অনৈতিক কাজে ধরা পড়েও আজ জনপ্রিয় শ্বেতা বসু প্রসাদ

একসময় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, আর এখন তিনিই আবার আলোচনার কেন্দ্রে—তিনি শ্বেতা বসু প্রসাদ। ২০০২ সালে ‘মাকড়ি’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী শ্বেতা বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করলেও নানা কারণে হারিয়ে গিয়েছিলেন আলো থেকে।

২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের একটি হোটেল থেকে পুলিশ তাকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। গণমাধ্যমে সে সময় ব্যাপক আলোচনা হয়। অভিযোগ ছিল, তিনি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে যৌনপেশায় জড়িয়েছিলেন। পুলিশ তাকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠায়, যদিও শ্বেতা দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, একদল পুলিশ খদ্দের সেজে দালালের মাধ্যমে শ্বেতার কাছে পৌঁছায় এবং চুক্তি অনুযায়ী ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সেবা নেওয়ার কথাবার্তা হয়, যার মধ্যে অগ্রিম দেওয়া হয় ১ লাখ এবং দালালের ভাগ ছিল ১৫ হাজার। সবকিছু গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। দালাল বালু গ্রেপ্তার হন এবং শ্বেতাকে আদালতের নির্দেশে সরকারি হোমে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারের সময় শ্বেতা বলেছিলেন, বলিউডের অনেক অভিনেত্রীই ক্যারিয়ার রক্ষায় এমন কাজ করতে বাধ্য হন, যা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

তবে সব বিতর্ক ও বিপর্যয় পেছনে ফেলে শ্বেতা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ‘ইকবাল’, ‘ডরনা জরুরি হ্যায়’ এবং বাংলা ছবি ‘এক নদীর গল্প’-এর পর তিনি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের অবস্থান শক্ত করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ত্রিভুবন মিশরা, সিএ টপার’ এবং ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’ সিরিজে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

এক সময় বিতর্কে আচ্ছন্ন এই অভিনেত্রী এখন তার প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আবার প্রমাণ করছেন যে, পুনরুদ্ধার সম্ভব—শুধু চাই সাহস ও দৃঢ়তা।

আরো পড়ুন