চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। তার চেয়েও উদ্বেগজনক তথ্য হলো—১৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল করেছে শিক্ষার্থীরা। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিনগুণে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে ফলাফল প্রকাশ করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
চলতি বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
ফলাফলে দেখা যায়, ফেল করা ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন। এত বিপুলসংখ্যক অকৃতকার্য শিক্ষার্থী এবং শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে সারাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে।
