গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় ৭৫ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং আরও প্রায় ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং যাদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ জুলাই সকালে এনসিপির গাড়িবহর ও সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা শুরু হয়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ঘটনায় প্রাণহানিও ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে।
সহিংসতার জেরে প্রথমে বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ চালু রাখার ঘোষণা দেয়। তবে জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের সুবিধার্থে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ আংশিকভাবে শিথিল করা হচ্ছে।
কারফিউর কারণে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, এবং রাস্তাঘাটে চলছে পুলিশের কড়া টহল। সহিংসতার পর রাতেই যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ সহিংসতা প্রতিরোধে অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত থাকবে।